কিছু বলার আগে আমি পুলিশ বাহিনীকে স্যালুট জানাতে চাই। আমি ছোট বেলা থেকে পুলিশকে শ্রদ্ধা করি। আমার বাবা একজন পুলিশবাহিনীর গর্বিত সদস্য। তিনি এখানে সম্মানের সহিত কাজ করেন। তিনি অনেক ভাল কাজের জন্য অনেক পুরুষ্কার পেয়েছেন। আর একটা কথা হলো, পুলিশ এর পোশাক গায়ে দিলে একটা অন্য রকম শক্তি চলে আসে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছ। মহান মুক্তিযুদ্ধেও পুলিশবাহিনী এক অগ্রনি ভুমিকা পালন করেছিল। ঠিক তখনি থেকে দেশের ক্রান্তিলগ্নে পুলিশবাহিনী ই দলমত নির্বিশেষে মানুষের প্রয়োজনেে এগিয়ে এসেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশ আজ অনেক উন্নতি করেছে। আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাত্র কয়েকজন লোভী পুলিশ এর জন্য গোটা পুলিশ বাহিনীকে দূর্নাম বহন করতে হয়েছে। তারপরও সকল প্রতিকূলতা পার করে বাংলাদেশ পুলিশ আজ অনেক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের সুনাম অক্ষুন রেখেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বর্তমানে মহিলা পুলিশ নিয়োগের মাধ্যমে পুলিশবাহিনীকে জনগনের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ এর প্রতিটি সদস্য নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ ও দেশের মানুষের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আজ শান্তির ঘুম ঘুমাই শুধুমাত্র পুলিশবাহিনীর জন্য।
বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্ব এখন এক দু্র্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর নাম হলো (Covid-19) করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বে আজ মহামারী পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কত মানুষ এ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন তা সবার ই জানা। এটা এমন একটা রোগ, এটাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে দাফন/শেষকৃত্য করার জন্য কেউ আসে না, হোক সে স্ত্রী,পুত্র,মেয়ে, এমনকি বাবা-মা ও। কত কষ্ট এ মৃত্যুতে। সারা জীবননের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় এই রোগে।
বিশ্বের বৃহত্তম দেশ গুলো এ রোগ থেকে বাচঁতে পারেনি। চীনের উহান প্রদেশ থেকে এর উৎপত্তি। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এ ভাইরাস আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ইউরোপের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত এর দিক থেকে এগিয়ে। এদেশে মৃত্যুর হারও বেশি।
দক্ষিণ এশিয়াতে এ ভাইরাস আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমে আছে ভারত, এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬৩ টিতে এ ভাইরাস আধিপত্য বিস্তার করেছে। এর ভিতরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছে। এরপর নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর বেশি মহামারী আকার ধারণ করেছে। এমতাবস্থায় আক্রান্ত রোগী ও মৃতদের নিকট কেউ আসছে না। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজের পরিবার ও নিজের জীবন নের কথা না ভেবে ঝাপিয়ে পরছে সম্মুখযুদ্ধে। এ জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর ৫০০ এর অধিক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫ জন পুলিশ মারা গিয়েছেন।
এত ত্যাগ এর পরও বাংলাদেশের সামান্য কিছু লোক পুলিশকে বদনাম করে, ঘৃনা করে। তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই পুলিশকে ভালোবাসুন।
স্যালুট
পুলিশবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে।
No comments:
Post a Comment